এসটি নিউজঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে নিকলী উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী মোকাররম সর্দারকে আটকের পর তার জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। সোমবার (২৮ অক্টোবর) বেলা তিনটার দিকে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বদিউজ্জামানের আদালতে তোলা হলে বাদীপক্ষের সাথে একটি আপোষনামার কপি আদালতে সাবমিট করলে জামিন পান তিনি। এর আগে গত রোববার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আলীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে যৌথবাহিনি আটক করে ফতুল্লা থানায় হস্তান্তর করলে দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
জানা গেছে, গত ২ অক্টোবর অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে শাহ আলম নামে এক ব্যক্তি আদালতে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় অন্যান্যদের সাথে মোকাররম সর্দারকেও আসামী করা হয়।
এদিকে বিকেলে জামিন লাভ করার পর মোকাররম সর্দার বলেন, ‘ব্যবসায়ীক লেনদেন থেকে ভুল বুঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে আমার নামে ওই মামলা দেয়া হয়েছিল। আমি একজন ব্যবসায়ী। চাঁদা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। হয়তো ভুল বুঝাবুঝি থেকে আমার বিরুদ্ধে ওই মামলা করা হয়েছিল। তবে বাদি ভুল বুঝতে পারেন এবং আমাকে আদালতে তোলার পর বাদি নিজেই আদালতে হাজির হন। তার সাথে যেই আপোষনামা হয়েছে, সেই আপোষনামা বাদি নিজেই আদালতে সাবমিট করেন এবং বাদির জিম্মায় আমাকে জামিন দেয়া হয়েছে। এখানে চাঁদাবাজীর মত কোনো ঘটনা নেই।’
মোকাররম সর্দার আরও বলেন, ‘৩৪ বছর ধরে আমি সুনামের সাথে লোড-আনলোডের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। বসুন্ধরা গ্রুপ, শেখ ব্রাদার্স গ্রুপ ও মোশারফ গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে আমার লোড আনলোডের ব্যবসা চলছে। যেখানে প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক কাজ করে। ব্যবসায়ীক সুবাধেই আমার জীবিকা চলে। কেউ কেউ অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, আমি নাকি সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ক্যাশিয়ার! এটা আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়। হারুন সাহেব আমার এলাকার হওয়ায় তিনি আমাকে আগে থেকেই চিনেন, আমিও তাকে চিনি। এর বাহিরে অন্যকোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি নিকলী উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম। যেখানে দল মত নির্বিশেষে সকলের ভোটেই আমি বিজয়ী হয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা নেই। যারা এগুলো বলছে, তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে।’