ফতুল্লা প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ভুইগড় দারুস সুন্নাহ আলিয়া মাদ্রাসায় গত ৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ খালেদ সাইফুল্লাহ ও সালাউদ্দিন আইয়ুবী সহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে মৃত আলীর ছেলে মকবুল হোসেন (২৭) বাদী হয়ে একটি মামলা দায় করেন।
বাদী মকবুল হোসেন তার এজহারে উল্লেখ করেন আমি একজন ছাত্র এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে ছিলাম।ভুইগার দারুস সুন্নাহ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার, দুর্নীতি ও কোটি কোটি টাকা সম্পত্তির আত্মসাৎ এবং মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা ধবংসের বিষয়ে মাদ্রাসার কমিটি ও অধ্যক্ষের সহিত আলোচনা করার জন্য গত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টার সময় গেলে।
অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী ও সালাউদ্দিন আইউবির নেতৃত্বে আমাদের উপরে সন্ত্রাসী হামলা চালায় এতে আমি সহ আমার ৯ সহকর্মী গুরুতর আহত হই। পরবর্তীতে আমাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্য হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফতুল্লা মডেল থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২২ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা মডেল থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ১০ জনের নাম অজ্ঞাত রেখে একটি মামলা দায় করি।
মামলার আসামি যারা খালেদ সাইফুল্লাহ (৪৬)সালাউদ্দিন আইউবী (৪৫)মান্নান মাষ্টার(৫৫)রেদোয়ান মাষ্টার (৪২)আবুল হোসেন(৬৫)জাকিয়া আক্তার (৩৮)ফাতেমা খানম(৩৫)সিহাব(১৯)কাজী ইমরান(১৮)মৃদুল(২৪)সাব্বির(২০)শিশির(১৯)রাকিব(১৮)সালেহ(২০)ইসমাইল (১৮)ফেরদাউস(২৮)বোরহান(৫৫)আনাস(২২)শামীম(২৪)তালহা(২০) নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০ জন রেখে বাদি মামলা করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোলায়মান মাহমুদ বলেন বাদীর এজাহারের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।