বাংলাদেশের মানুষ গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছে, কিন্তু স্বৈরাচারকে মানেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান।
সোমবার কিশোরগঞ্জে বিএনপির গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, নতুন প্রত্যাশা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে। সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হবে। স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা বসে নেই। তারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সারাদেশের মানুষ প্রত্যাশা করছে, বিএনপি সরকার গঠন করে তাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়বে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শুধু রাজনৈতিক মুক্তি নয়, অর্থনৈতিক মুক্তিও আনতে হবে। বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় দেশ, প্রয়োজন সঠিক নেতৃত্ব। বিএনপি সঠিক মানুষের হাতে দায়িত্ব তুলে দেবে। এর জন্য রাজনৈতিক অধিকারের সাথে অর্থনৈতিক মুক্তিও প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষকদের উন্নয়নে পরিকল্পনা, বিশ্বে বাংলাদেশের মাছ রপ্তানি করার সুযোগ রয়েছে। এসবের জন্য প্রয়োজন জনগণের নির্বাচিত সরকার।
তারেক রহমান এসময় বলেন, স্বৈরাচার সরকার জনগণের অর্থ পাচার করেছে। নিজেদের লোকদের শক্তিশালী করেছে। বিএনপি সাধারণ মানুষকে শক্তিশালী অর্থনৈতিক বুনিয়াদির উপর প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ দিলে, প্রত্যেক পরিবারকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হবে। এই কার্ড হবে পরিবারের গৃহিণীর নামে। যার মাধ্যমে মাসিক প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্যের সহযোগিতা করবে সরকার। নারীর ক্ষমতায়নের জন্যও এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তিনি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান।
এসময় তিনি আরও বলেন, যেসব রাজনৈতিক দলগুলো স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছিলো, সবাইকে নিয়েই জাতি গঠন করবে বিএনপি। বাংলাদেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই।