ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া হলটির প্রাধ্যক্ষ পদ থেকে অধ্যাপক ড. শাহ্ মো. মাসুমকেও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
হলের নতুন প্রাধ্যক্ষ হিসেবে ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস আল-মামুনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে শনিবার দুপুরে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কার হওয়া ওই ৮ শিক্ষার্থী হলেন পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন শাহ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের জালাল মিয়া ও আবদুস সামাদ, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের সুমন মিয়া, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আল হোসাইন সাজ্জাদ, গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ওয়াজিবুল আলম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ কবির ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আবদুস সামাদ।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফিরোজ কবির ও আবদুস সামাদ ছাড়া বাকি ছয়জনকে হল প্রশাসনের সহযোগিতায় এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার অভিযুক্ত এ আট শিক্ষার্থীর আবাসিক সিট বাতিল করে হল কর্তৃপক্ষ।
তোফাজ্জল হত্যার আগে হল প্রাধ্যক্ষের অবহেলার অভিযোগ ছিল। ওই ঘটনার সময় এবং ঘটনার পর পুরো রাত পেরিয়ে গেলেও ঘটনাস্থলে যাননি হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহ মো. মাসুম।
ঘটনার সময় বা পরে তাকে কয়েকবার ফোন করা হয়েছেও বলে জানান শিক্ষার্থীরা। তারপরও রিচ করা যায়নি প্রাধ্যক্ষকে।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদও একাধিকবার ফোন দিয়ে পাননি এ প্রাধ্যক্ষকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ এবং সহকারী প্রক্টররা আসার খবর পেয়ে পরের দিন সকাল সাতটার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন অধ্যাপক ড. শাহ মো. মাসুম।
ঘটনার আগে বা পরে হল প্রাধ্যক্ষের হলে না আসা এবং ফোনে পাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন। এরপর আজ পদ থেকে শাহ মাসুমকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।