এসটি নিউজ: মুন্সিবাগে রাতের আঁধারে ৫ টন রড চুরি করে বিক্রি করে দিল সিকিউরিটি গার্ড বারেক সরকার
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডস্থ উত্তর পূর্ব মুন্সিবাগ এলাকায় একতা ভবনের সিকিউরিটি গার্ড বারেক সরকারের বিরুদ্ধে মিজান মোল্লার ৫ টন রড রাতের আঁধারে চুরি করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই ব্যাপারে উত্তর পূর্ব মুন্সিবাগ সমাজ উন্নয়ন পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: মিজান মোল্লা বাদী হয়ে একতা ভবনের সিকিউরিটি গার্ড মো: বারেক সরকার এবং বারেক সরকারের নাতি নাহিদ এর বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগে মিজান মোল্লা উল্লেখ করেন ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নস্থ মুন্সিবাগ এলাকায় ১৬ শতাংশ সম্পত্তির উপর ৭ম তলা বিশিষ্ট একতা ভবন নির্মান কাজ চলাকালীন অবস্থায় আব্দুল বারেক সরকারকে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়।সেই সুবাদে আব্দুল বারেক সরকার এবং তার নাতি নাহিদ যোগসাজশ করে আমার ও উক্ত ফ্ল্যাটের অন্যান্য লোকজনের অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন সময় ও তারিখে বিল্ডিং নির্মান করার কাজে ব্যবহারকৃত মালামাল হতে ৪০ লাখ টাকা মুল্যের মালামাল চুরি করিয়া অন্যত্র বিক্রি করে সেই টাকা আত্মসাৎ করে এবং এদের এরুপ কার্যকলাপ একতা ভবন এর কিছু সদস্যরা দেখে ফেললো বারেক সরকার এবং তার নাতি নাহিদ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করে তাদের নিকট হতে জোরপূর্বক টাকা পয়সা নিয়ে যেতো। ( যা স্বাক্ষীর নিকট হতে প্রমান পাওয়া যাবে)। যার উপযুক্ত প্রমান আমার নিকটও সংরক্ষিত আছে। গত ৭ জুন রাত অনুমান ৯ টার দিকে বারেক সরকার এবং তার নাতি নাহিদ সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনকে নিয়ে ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নস্থ মুন্সিবাগ এলাকায় একতা ভবনের নির্মান কাজ চলাকালীন বাড়ির গোডাউনে হতে ৫ টন রড চুরি করে নিয়ে আত্মসাৎ করে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৫ লাখ টাকা। যা উক্ত নির্মানাধীন বাড়ির সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ এর মাধ্যমে বারেক সরকার এবং তার নাতি নাহিদকে শনাক্ত করা যায়।
একতা ভবন এর আরেক ফ্ল্যাটের মালিক মো কবির হোসেন জানান, তাদের পাশের ফ্ল্যাটের নির্মান কাজ করার জন্য গোডাউনে রাখা ১০ টন রড রাতের আঁধারে চুরি করে বিক্রি করে দেয় সিকিউরিটি গার্ড বারেক সরকার এবং তার নাতি নাহিদ। এদের বিরুদ্ধে থানায় তিনটি অভিযোগ দায়ের করা আছে।শুধু এখানেই শেষ নয় একতা ভবন এর পাশে মুরাদনগর টাওয়ারের দ্বায়িত্বে থাকাকালীন সময়েও প্রতি ফ্ল্যাট থেকে ৮ লাখ টাকা করে ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এই প্রতারক আব্দুল বারেক সরকার।
নিউটি শেয়ার করুন…